পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি।
পেয়ারা মতই পেয়ারার পাতারও রয়েছে অনেকগুণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাতে
সাহায্য করে। আগের দিনে দাদিরা বলত পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেতে এর ফলে মুখের
দুর্গন্ধ ও দাতের কোন সমস্যা থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করত কারন এর ভিতরে
রয়েছে ভিতামিন বি ও সি। তাছারা কোচি পেয়ারা পাতা দিয়ে দাত মাজলে দাতের গোঁরা
শক্ত এবং ময়লা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখত ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ।
পেয়ারা পাতা যেমন মুখ ও দাতের জন্য উপকার ঠিক তেমনি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে এর
উপকারেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিকস এমন একটি রোগ যা দেহে দ্রুত ছরায়। এর ফলে আমাদের সরিলে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় আর এর পাসাপাসি রক্তে শর্করা অনিওন্ত্রিত হারে বারতে
থাকে তখন ইন্সুলিন ব্যাবহার ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আর বিশেষজ্ঞদের মতে
ইন্সুলিন ব্যাবহারকারি সরিলে দ্রুত হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দায় বা বন্ধ করে দেয়।
এর ফলে সরিলে শর্করা অনিয়ন্ত্রিত হারে বারতে থাকে। পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে এর পানি
পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
পেয়ারা মতোই পুষ্টি গুনে ভরা এর পাতা এর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি রয়েছে
অপকারিতাও চলুন এবার এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে =
উপকারিতা
পেয়ারার মতোই এর পাতায়ও রয়েছে ভিতামিন বি ও সি এটির ফলে চুলের প্রয়োজনীয় কোলাজেন ও চুল বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটার, এবং
অ্যান্টি মাইক্রেবিয়াল বিশিষ্ট যা মাথার ত্বক সাস্থকর রাখতে সাহায্য
করে।
অপকারিত
উপকারিতার পাসাপাসি পেয়ারা পাতার কিছু অপকারিতাও আছে। পেয়ারা পাতার ঔসুধি অনেক
যার ফলে এর অপকারিতা কম। তারপরেও পেয়ারা পাতার কিছু অপকারিতা আছে। আপনি যদি বেসি
মাত্রায় এটি ব্যাবহার করেন তাহলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। নিম্নে এর
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা সম্পর্কে আলচনা করা হল।
পেয়ারা পাতার ব্যাবহারে আমাদের সরিলে উচ্চ রক্তচাপ কমায় কিন্তু বেসি মাত্রায় এটি
ব্যাবহারে বা পেয়ারা পাতার খেলে আপনার রক্তচাপ প্রয়জনের থেকে বেসি কমে যেতে
পারে।
গর্ভকালীন মায়েদের এটি বেবহারের কোন বিধিনিসেধ নেই তারপরেও ডাক্তারের পরামর্ষ
নিয়ে এটি ব্যাবহার করা শ্রেয়।
ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে।
ব্রঙ্কাইটিস এর মত রোগ উপসমের পাসাপাসি সর্দি কাঁসি নিরাময়ে পেয়ারা পাতা সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালীন অঞ্চলে কাচা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে
ভিতামিন সি ও আয়রন যা অতিরিক্ত মিউকাস ক্ষরনে বাধা দেয় যার ফলে জিবানুর বংশবৃদ্ধি
রোধ করে।
খালি পেটে পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা।
পেয়ারা পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা মানব দেহের রেচনকারজে
সহায়তা করে। মানব দেহের বর্জ্য নিষ্কাশনের পর পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে
আনতে সাহায্য করে।
পেয়ারা পাতায় এলার্জি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধ করে।
পেয়ারা পাতায় মানব দেহের হিস্টামিন তৈরির প্রক্রিয়া নিরাময় করে। আর এর
সাহায্যে শরীরে
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে সাহায্য করে।
শুধু দাঁত নয়,পেট,চুল এবং ত্বকের খেয়াল রাখে পেয়ারা পাতা, আর কী কী উপকারে লাগে?
- পেয়ারা পাতা কিছুক্ষন চিবিয়ে নিন। এর ফলে এর রসের কল্যাণে মারীর রক্ত পরা, মুখের ঘা ও মারীর ব্যাথায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।
-
- পেয়ারা পাতা পিষে ব্রনের উপরে লাগালে এর মধ্যে থাকা ভিতামিন সি ব্রন কমাতে সাহায্য করবে।
-
- গরম পানিতে পেয়ারা পাতা সিদ্ধ করে নিয়ে তা চুলে লাগালে চুল পরা রোধ করা যায়। তবে মাথায় লাগানর পূর্বে অবশ্যই পানিটি ঠাণ্ডা করে তারপরে মাথায় দিতে হবে।
-
- পেয়ারা পাতা প্রচুর পরিমানে ভিতামিন বি৩ (নিয়াসিন) ও বি৬ থাকায় এটি মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে রক্ত চলাচল ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে নিয়াসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url