OrdinaryITPostAd

মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ / মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা ২০২৪

আসসালামু ওয়ালাইকুম

মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ / মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা ২০২৪


আজ আমি এমন একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব যেটি কিনা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি বাহন। আর সেটি হচ্ছে বাইক।



কারন আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এ বাহন ছাড়া বর্তমানে চলতেই পারেন না।


আবার অনেকে আছেন তারা এটি তাদের জিবিকার জন্যে ব্যবহার করে থাকেন আর এমনও আছেন যে শখের জন্যে ব্যবহার করে থাকেন।


বর্তমান আমাদের দেশে প্রায় ৪০৩৯০০০টি নিবন্ধিত মটরবাইক রাস্তায় চলাচল করে।আর এগুলর জন্যে সরকারি কিছু নীতিমালা/সর্ত আছে আর সে বিসয়গুলি নিয়েই আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।


চলুন এবার সে নিতিমালা/শর্তগুলি কি কি জানা জাকঃ-


মোটরসাইকেল ব্যবহারে প্রথম সর্ত হচ্ছে অবশ্যই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।মোটরসাইকেল ব্যবহারের যাবতীয় কাগজ থাকতে হবে।মোটরসাইকেল চালানর সময় হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কোন মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।

ফিটনেস বিহীন মটরবাইক/মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। মোটরসাইকেল চালানোর সময় ট্রাফিক রুলস মানতে হবে।মোটরসাইকেল চালানোর সময় ২জনের বেসি চরা যাবে না।মোটরসাইকেল চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা যাবে না।

মোটরসাইকেল চালানোর সময় অন্য মনস্ক হওয়া যাবে না।মোটরসাইকেল চালানোর সময় গতি মানতে হবে।মোটরসাইকেল চালানোর সময় রাস্তার সাইনগুলি খেয়াল করতে হবে।নিপত্তা সরঞ্জামাদি এবং অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম থাকতে হবে।


মোটরসাইকেল ব্যবহারে প্রথম শর্তঃ

মটোরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আপনি মটোরসাইকেল ক্রয় করতে পারবেন না। আর এটি ছাড়া আপনি মটোরসাইকেল চালালে যেকোনো সময় পুলিস অথবা যেকোন আইন রক্ষাকারী বাহিনী আপনাকে আটক করে নিতে পারে। সুতরাং ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আপনি এবং আপনার মটোরসাইকেল দুটোই অবৈধ। 

     


    মোটরসাইকেল ব্যবহারের যাবতীয় কাগজ


    বেসিরভাগ সময় আমরা মোটরসাইকেল কেনার পর যাবতীয় কাগজ তৈরি করে থাকি। এর ফলে এসব কাগজপত্র পেতে বেস কিছুটা সময় আমাদের লাগে জায়।আর সঠিক নিয়ম হল মোটরসাইকেল কেনার পূর্বেই এ সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করে নেয়া।




    দেশে সুন্দর শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তাদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করে আসছে। এর জন্যে কঠোর হচ্ছে আইন, তাই আমরা আপনারা সকলে চেষ্টা করব বাইক চালানোর সময় প্রয়জনিও কাগজপত্র সঙ্গে রাখার এতে আমরা কোন প্রকার হয়রানি ছারাই মোটরসাইকেল চালাতে পারব।


    মোটরসাইকেল ব্যবহারের যাবতীয় কাগজ কি?

    মোটরসাইকেল ব্যবহারের যাবতীয় কাগজ বলতে এর সংশ্লিষ্ট পেপার। যেমনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্সে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ট্যাক্স টোকেন, ইন্সুরেন্স। এ সমস্ত কিছু রাখতে হবে মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্যে। এর একটি অন্যটির সাথে সংযুক্ত তাই এর কোনোটি ছাড়া আপনিমোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন না।
       

      এর আগে আপনাদেরকে কিছু পেপারস এর কথা সংক্ষেপে বলেছিলাম এবার আপনাদের সাথে সে বিসয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স


    আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা এ বিষয়ে জানেনই না। ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে আপনার মোটরসাইকেল চালানোর মূল কাগজ এটি ছাড়া আপনি যদিও একটি মোটরসাইকেল কিনেন কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপে আপনি চালাতে পারবেন না।

    এটি হচ্ছে আপনার চালানোর অনুমতিপত্র তাই সর্বপ্রথম আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হবে।


    রেজিস্ট্রেশন নম্বর


    রেজিস্ট্রেশন নম্বর এটি হচ্ছে আপনার মোটরসাইকেল বৈধতার প্রমান। এ কাগজ ছাড়া আপনি যে মোটরসাইকেল চালাবেন সেটা অবৈধ আর এর কারনে আপনাকে অনেক হয়রানির সিকার হতে হবে। আপনি যে সরুম থেকে মোটর সাইকেল কিনবেন সেখান থেকে আপনাকে একটি নম্বর দিবে আর সেটি হচ্ছে আপনাররেজিস্ট্রেশন নম্বর।


    ট্যাক্স টোকেনঃ

    ট্যাক্স টোকেন মুলত বাংলাদেসি রাস্তায় বৈধভাবে বাইক চালানোর অনুমতিপত্র। সহজ ভাষায় হল মুসক অথবা কর।


    ইন্সুরেন্সঃ


    ইন্সুরেন্স এটি হল আপনার বাইকের রক্ষা কবজ। বাংলাদেসের আইন অনুযায়ী রাস্তায় বাইক চালানোরজন্যে এটি বাধ্যতামূলক। 



        হেলমেট



        বাইক চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে হেলমেট পরিধান করে চালান। হেলমেট পরলে যেমন আপনি নিরাপদ থাকবেন তেমনি অনেক আইনি ঝামেলা থেকেও দূরে থাকবেন।


        সম্পূর্ণ পোশাক


        বাইক চালানোর ক্ষেত্রে এর নির্দিষ্ট কিছু পোশাক আছে। বাইক চালানোর সময় অবশ্যই আপনাকে জিন্স প্যান্ট, ফুল সার্ট, হ্যান্ড গ্লভস, চেস্ট গার্ড, ইত্যাদি যাবতীয় জিনিসগুল আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।

        আর যদি এগুল আপনার না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই জিন্স প্যান্ট এবং ফুল সার্ট, তার দাথে সু আথবা কেডস পরে বাইক চালাতে হবে। আর এ যাবতীয় সবগুল জিনিসি আপনার সেফটির জন্যে। তাই পারতপক্ষে বাইক চালানোর সময় চেষ্টা করবেন এগুল বযবহারের।


        গতিসিমার আইন ২০২৪


        বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মোটরসাইকেল চলাচল এর একটি গতিসিমার আইনের উদ্যো্গ নিয়েছে সরকার। এজন্য একটি খসড়া মোটরসাইকেল চলাচলগতিসিমার আইন ২০২৪ প্রস্তুত করেছে।

        সরক পরিবহন বিধিমালায় ১২৬ ধারায় বলা হয়েছে সরকভেদে সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গতি নির্ধারণ করবে।এর ক্ষেত্রে মহাসরকে ৮০কিঃমিঃ এবং রাজধানীর ক্ষেত্রে সরকভেদে ৩০-৬০কিঃমিঃ গতি কনভাবেই আতিক্রম করা যাবে না।

        আর এগতি নির্ধারণের জন্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির কাছে একটি স্পীড মিটার দেওয়া থাকবে যার দ্বারা তারা প্রতিটি জানবাহনের গতি পর্যবেক্ষণ করবে। আর যারা এ আইন লঙ্ঘন করবে তাদের সাস্তির আয়ওতায় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাস্তি নির্ধারণ করবে।


        এ নিতিমালায়মোটরসাইকেল চলাচল এর গতিসিমা নিয়ে একটি আইন পাস করেছে আমাদের সরকার। আপনারা যারা মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন অবশ্যই এ আইন মেনে সড়কে চলাচল করবেন।

        CONCLUTION

        বর্তমানে সারাদেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৫৬২৮০০০ এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেলর সংখ্যা হল ৪০৩৯০০০।(যাত্রী কল্যাণ এবং রোড সাফটি ফাউণ্ডেসন এর পরিসংখ্যান)
        অবসেসে একটি বিষয় আপনাদের না বললেই না। আপনারা কি জানেন যে চলতি বছরে আমাদের দেশে শুধু জানুয়ারি মাসে ২১৪টি বাইক দুর্ঘটনা হয়েছে।

        আর যাত্রী কল্যাণ সমিতি এবং রোড সাফটি ফাউণ্ডেসন সহ আরও জেসব বেসরকারি সংস্থাগুলর পরিসংখ্যান অনুযায়ী সরকে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি প্রায় ৪০% ই বাইক দুর্ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url