OrdinaryITPostAd

সুস্বাস্থ্য কি?যেনে নিন সুসাস্থের ১9 টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস


সুস্বাস্থ্য শব্দটার সাথে আমাদের জড়িয়ে আছে আমাদের শৈশব। গুরুজন্দের দেয়া আশীর্বাদ কিংবা কোন নইমন্ত্রনে, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা একটা রীতির মতো হয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান কর্মব্যস্ত এ সময়টায় নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়াটা অনেকের কাছে এখন বলাসিতা। 



দুঃখজনক হলেও এটাই এখন বাস্তবতা। সুস্বাস্থ্য নামের সম্পদের অধিকারি হতে চাইলে যত্নশীল হতে হবে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি। মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মকানুন। আর পাঠ্যবই এ কয়েকটি উক্তির মধ্যে অন্যতম উক্তই হচ্ছে - "স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল" । 


পোস্ট সূচিপত্রঃ  


সুস্বাস্থ্য কি


 সুস্বাস্থ্য কি- এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতি ১০ জনের ৮ জন বলবে- এর মানে শরীরে কোন রোগ না থাকাই সুস্বাস্থ্য, আর বাকিরা বলবে এর মানে গোলগাল হওয়া। এর কারন হচ্ছে- এটি নিয়ে ঠিকঠাক সচেতনতা তো দূরে থাক, যথেষ্ট জানাশুনা নেই আমাদের। তবে সুস্বাস্থ্য কি শুধুই শারীরিক সুস্থতা?


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে- সুস্বাস্থ্য হচ্ছে একজন মানুষের শারীরিক, মানসিক, সামাজিকভাবে সুস্থ থাকার কথা বলা হয়েছে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলার মাধ্যমে যা বজায় বা ঠিক রাখা বেস সহজ। 




যেহেতু স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল, তাই এটি ঠিকঠাক রাখতে আমাদের কিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে। চলুন এবার জানা নেওয়া যাক এর দিকগুলোর সম্পর্কে। নিম্নে এর আলোচনা করা হইলঃ

আরও পড়ুনঃ ব্যায়াম- শরীর ও মস্তিস্কের বন্ধু।





সুস্বাস্থ্য ঠিক রাখার ১৯ টি কার্যকারী উপায়ঃ

শরীরচর্চাঃ সুঠাম ও পেশিবহুল শরীর গঠনের জন্যে কতই না ব্যায়াম আছে, শুধু সুঠাম ও পেশিবহুল শরীর সুস্বাস্থ্য নয়। সাধারণ হাঁটাহাঁটি দিয়েই শুরু করে দিতে পার তোমার শরীরচর্চা রোজ মাত্র ১০ মিনিট হাঁটলেই কর্মক্ষমতা এবং হজমক্ষমতার উন্নতি হয়। 


পর্যাপ্ত পানিঃ শরীরের দৈনিক পানির চাহিদা পুরন করা অত্যন্ত জরুরি। পানি মানবদেহের অভ্যন্তরীণ দিকগুলো ঠিক রাখে। এছারা ত্বক ভালো রাখতে, শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে পানি সাহায্য করে। এ জন্যেই বলা হয় পানির অপর নাম জীবন। 


আলো-বাতাসঃ সূর্যের আলোতে ভিটামিন- ডি আছে- এটা আমরা সবাই জানি। তাছারাও পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস আমাদের মানসিক ও শরীর ঠিক রাখতে সাহায্য করে। 


ঘুম-বিশ্রামঃ ঘুমকে কখনোই অবহেলা করা উচিৎ নয়। কারণ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র কয়েক রাত ঘুম না হলেই একজন মানুষের মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া শুরু করে। তাই মনে রাখবেন জীবন জতোই ব্যস্ত হোক না কেনো শরীরকে অবশ্যই বিশ্রাম দেওয়া জরুরী।


প্রাকৃতিক খাবারঃ তাজা ফল, সবজি, আমিষ, শস্যজাতীয় খাবার শরীরের জন্যে সবচাইতে উপকারী। কারণ প্রাকৃতিক বাদে বাজারের বেশিরভাগ জিনিষেই আছে প্রিজারভেটিভ তাই এ সমস্ত খাবার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। 


মিষ্টি পানিও এড়িয়ে চলুনঃমিষ্টি পানিও হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা আপনার শরীরে চর্বি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যখন আপনি সোডা বা কোলা জাতিও ঠাণ্ডা কিছু পান করবেন তখন সেটির মাধ্যমে বেশি পরিমান ক্যালরি আপনার শরীরে প্রবেস করবে।


বাদাম খানঃবাদামে রয়েছে ভিটামিন-ই, ফাইভার, ম্যাগনেসিয়ামসহ আরও বিভিন্নরকম পুষ্টি। এছারা বাদাম অজন কমাতে সাহায্য এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। অন্যদিকে দৈনিক পরিমাণ মতো বাদাম খেলে ক্যানসারে ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে।


প্রক্রিয়াজাত/জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুনঃ প্রক্রিয়াজাত/জাঙ্ক ফুড বিশ্বে পূর্বের চেয়ে স্থুলতা ও অসুস্থতার হার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কারণ এ যাতিও খাবারে ফাইবার, প্রোটিন এবং মাইক্রোনিট্রিয়েন্টস কম থাকে এবং এতে চিনি ও অস্বাস্থ্যকর উপাদান বেশি থাকে। 


কফি পান করুনঃ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কফি পানকারি অন্যদের চেয়ে বেশি বাঁচেন। এছারা কফিতে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, পারকিনসন রোগ, এলারজিসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমায়।


তাজা মাছঃ তাজা মাছ স্বাস্থ্যকর বলে সকলে মেনে নেয়। এছারা চর্বিযুক্ত মাছ খুবই স্বাস্থ্যকর। এছারা মাছ খেলে হৃদরোগ, ডিমেন্সিয়া এবং বিষণ্ণতাসহ আরও অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়।


প্রোবোটিক্স/ফাইবার যুক্ত খাবারঃ দাহকে সুস্থ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো- প্রোবোটিক খাবার খাওয়া (দই এবং সুপ)। প্রোবোটিক সম্পূরক গ্রহণ করুন এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যাতিও খাবার খান। কারণ ফাইবার দেহের ব্যাকটেরিয়ার জন্য জ্বালানী হিসেবে কাজ করে।


যথেষ্ট প্রোটিন খানঃ পর্যাপ্ত প্রোটিন  দেহের হজমশক্তি উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খাওয়ায় মানবদেহে রক্তের শর্করা এবং উচ্চ রক্তচাপ এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

                                                                  

 অলিভ ওয়েল খানঃ অলিভ ওয়েলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি। এটি হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করেএছারা এটি মানবদেহে ফ্যাট এবং শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। যারা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করেন তাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক এ মারা যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।


কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কম খানঃ পরিমার্জিত কার্বোহাইড্রেট খাবার বিশেষ প্রক্রিয়ায় করা হয় এর ফলে এর ভিতরে থাকা সব ফাইবার সরিয়ে ফেলে। এতে পুষ্টি কমে যায় যার ফলে এটি মানবদেহের জন্যে ক্ষতিকর ভূমিকা পালন করে।


ভারি জিনিস উত্তোলনঃ ভারি জিনিস উত্তোলনের ফলে আপনার শরীরকে শক্তিশালী এবং শরীরের গঠন উন্নত করতে পারে। সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো- জিমে জাওয়া এবং ভারোত্তোলনের ব্যায়াম করা।


সম্পর্কের যত্ন নিনঃ আপনার সামাজিক সম্পর্ক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য অবিশ্বাস্য ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয় তারা অন্য মানুষের থেকে বেশি সুস্থ থাকে।


দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকুনঃ দুশ্চিন্তা মানবদেহে খুব ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে সহায়তা করে থাকে। কারণ দুশচিন্তার ফলে দেহে উচ্চ রক্তচাপ এর মাত্রা বেড়ে যায় তারসাথে স্ট্রোক করার সম্ভাবনা বারিয়ে তুলে।  


সপ্তাহে ৩০ পদের সবজি ও ফল খানঃ আমাদের পাকস্থলিতে মাইক্রোবায়োম না একটি ব্যাকটেরিয়া আছে। এই ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে সুসাস্থের উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই এ ক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব লতা-পাতা ও উদ্ভিজ সবজি খেতে হবে।                                                        

লন্ডন কিংস কলেজের একজন গবেষক ড. মেগান রসি বলেন প্রতি সপ্তাহে সব পদ মিলিয়ে ভিন্ন-ভিন্ন ৩০ পদের সবজি ও ফল খাওয়া যায় তবে সাস্থের জন্য খুবি ভালো।  




বেশি করে হাসুনঃ সাস্থের জন্যে একটি বিশেষ ঔসুধি হচ্ছে হাসা। কারণ হাসলে মন ও হার্ট দুটোই ভালো থাকে।                                                                                           

আর একজন বিদেশি গবেষক ড. জেমস গিল বলেছেন, সুখী থাকার সহজ উপায় হিসেবে বেশি করে হাসার পরামর্শ দিয়েছেন।

আমার মতামতঃ 

আল্লাহর সবগুলো নিয়ামতের সর্বউত্তম নিয়ামত হচ্ছে সুস্বাস্থ্য, কারণ সবাই সুসাস্থের অধিকারি হতে পারে না। মানুষ সারাক্ষন দেহের সুস্থতা নিয়ে ভাবে। আর এটি সহজ বটে।

 এতক্ষন আপনাদের সাথে উপরে যে সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করালাম আসাকরি এ বিষয়গুলি মেনে চলতে পারলে আপনারাও একজন সুসাস্থের অধিকারি হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্‌। 


তবে উপরুক্ত বিষয়গুলির সাথে যদি আপনারা আপনাদের মনের উপরে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। এ বিষয়ে ব্রিটেনের একজন গবেষক,








ড. শ্যামি বলেন, আত্ম সচেতন এমন এক জিনিস যা মানুষকে তার নিজের আবেগ, অনুভূতি ও ইচ্ছা-অনিচ্ছা অনেক কিছু নিবিরভাবে চিনতে সহায়তা করে। কারণ নিজের অনুভূতি চেনার মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও সুরুক্ষার দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পারে।



নিজের ব্যক্তির ধারনা যত নিরভুল ও গভীর হবে, ততই সে তার নিজের শক্তি ও দুর্বলতার দিকগুল জানবে। কারণ এ জানার মাধ্যমেই নিজের দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url